পাটের বস্তা ব্যবহার নিশ্চিত করতে সারাদেশে অভিযান
ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি পরিবহনে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক আইন বাস্তবায়নে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এ অভিযান শুরুর পর মঙ্গলবার ঢাকার কৃষি মার্কেট, মোহাম্মদপুর ও কচুক্ষেত বাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান চালানো হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। আর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মশিউর রহমান এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৬টি পণ্যে শতভাগ পাটের বস্তার ব্যবহার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হবে ।
ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিদর্শনকালে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘এ আইন বাস্তবায়নের সময় নির্ধারিত ছিল ২০১৪ সাল। কিন্তু সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে এ আইন বাস্তবায়নের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ আইন বাস্তবায়নে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তৎপর রয়েছে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট আরও বাড়ানো হবে।’
মির্জা আজম এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, সারাদেশে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ৬২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয় এবং মোট ১৪২ টি মামলা দায়ের হয়। এতে প্রায় ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় হয়।
এ আইন পালনে ব্যবসায়ীসহ সকলের আন্তরিকতা পরিলক্ষিত হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান। তিনি আরো বলেন, ‘এ অভিযান মনিটরিংয়ের জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিবদের সমন্বয়ে ১০টি পৃথক মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এ আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী দুই মাসে যে পরিমাণ পাটের ব্যাগ বা বস্তার প্রয়োজন হবে তা ইতোমধ্যে মজুত রয়েছে। এসব সরবরাহ করবে রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান বিজেএসসি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ছয়টি পণ্যে পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে ব্যাংকঋণ সুবিধা দেয়া হবে না। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছে। একই সঙ্গে চাতাল মিল মালিকগণ পাটের ব্যাগ ব্যবহার না করলে খাদ্য মন্ত্রণালয় তাদের লাইসেন্স বাতিল করবে।’ পাশাপাশি আমদানি ও রফতানিকালে পাটের ব্যাগ ব্যবহার না করলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আইআরসি বা ইআরসি বাতিল করবে বলেও জানান তিনি।