কাজের সঠিক মূল্যায়ন না পেয়ে গয়নার উদ্যোক্তা “রত্না”
মেটালের তৈরি গয়নাগুলো মূলত তৈরি হয় দস্তা, পিতল, কপার আর তাতে যোগ করা হয় বিভিন্ন ধরনের পুঁতি,পাথর, সুতা,বীটস কাপড়সহ বিভিন্ন উপাদান। এমনই বিভিন্ন ম্যটেরিয়ালস এর সমন্বয়ে একেকটি গয়নার রুপ দেয়াই রত্নার কাজ। রত্না মূলত কাজ করে মেটালের গয়না নিয়ে। অনলাইনে রত্নার পেইজের নাম ‘কাদম্বিনী’। কাজ করেন নিজের ভালো লাগা আর ভালোবাসা থেকেই। ঢাকায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা হলেও বর্তমানে কাজ করছেন সিলেট থেকে। ছোটবেলা থেকেই বাবা মার কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে বড় হয়েছে এবং নিজেকে সাবলম্বী এবং নিজের একটা পরিচয় গড়ে তোলোর চেস্টায় আজ তিনি গহনা কন্যা নামেও পরিচিতি পেয়েছেন।আগাগোড়া পড়াশুনার পাশাপাশি কিছু করার চেষ্টা করতেন আর তারই ফল ‘কাদম্বিনী’।

পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের হাত খরচ নিজেই যোগার করেছেন। পড়াশুনা শেষ করে দীর্ঘদিন চাকরি করেছেন কিন্তু নিজে কিছু করার স্বপ্ন তার পিছু ছাড়েনি। অন্যের সপ্ন পূরনের জন্যে পরিশ্রম করেছেন অথচ কাজের সঠিক মূল্যায়ন পাননি কখনো।
“আমাদের দেশে বেশির ভাগ চাকরিতে যোগ্যতা ও পরিশ্রম অনুযায়ী সঠিক মূল্যায়ন পাওয়া যায় না। আর মেয়েদের বিষয়ে নানান ধরনের প্রতিবন্ধকতা তো আছেই।” – রত্না
একটা সময় জব ছেড়ে দিতে বাধ্য হন আর তখন থেকেই কিছু একটা করার চেষ্টা করছিলেন। কিছুটা শঙ্কা নিয়েই গহনা তৈরীর উদ্যোগ শুরু করেন । আর তার প্রয়োজন ও কিছু করার অদম্য ইচ্ছা, পরিকল্পনা এবং বাজারে মেটালের গয়নার ব্যপক চাহিদা থাকায় মাসখানেকের মধ্যেই খুব ভালো সারা পান। তখন থেকেই আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। গত এক বছরে নিজের হাতের তৈরি গয়না দেশের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি পৌঁছে দিতে পেরেছেন দেশের বাইরেও।

রত্না আক্তার কেয়া বলেন “অনলাইনে বিজনেসের ক্ষেত্রে প্রয়োজন সততা,পরিশ্রম,বুদ্ধিমত্তা,ধৈর্য। আমি আমার উদ্যোগ নিয়ে অনেক আশাবাদী। ইনশাআল্লাহ একসময় ‘কাদম্বিনী’ ব্যন্ড আলোচিত ব্যন্ড হিসেবে পরিচিত হবে সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।